স্বর্ণশিল্পে দক্ষ কারিগর হিসেবে পুরুষরাই কাজ করছেন। এতে নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে একটি প্রতিষ্ঠান দরকার। দেশে স্বর্ণালংকার শুধু নারীদের জন্য তৈরি হলেও এ খাতে তাদের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। তাই এই খাতকে আরও সমৃদ্ধ এবং রপ্তানি উপযোগী করে তুলতে নারী কারিগর তৈরিও জরুরি। এতে এ খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য অর্জনে নারীরা ভূমিকা রাখতে পারবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে তিন দিনব্যপী বাজুস ফেয়ার উদ্বোধন শেষে ‘নারীর ঐতিহ্য, নারীর গহনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
তারা আরও বলেন, স্বর্ণকে প্রতিপত্তি নয়, সর্বসাধারণের অলংকার হিসেবে পরিচিত করতে হবে। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় স্বর্ণালংকার তৈরি করতে হবে। তাহলে স্বর্ণালংকার উৎপাদন ও রপ্তানিতে বিশ্বের ১০ দেশের একটি বাংলাদেশ হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক কবি শাহনাজ মুন্নী। সঞ্চালনা করেন বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি বলেন, স্বর্ণ ও জমির দাম কখনো কমে না। বাংলাদেশে জমি ও স্বর্ণের দাম ২০ বছরে একবারও কমেনি। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১০-১৫ গুণ। তাই এ দুই খাতে বিনিয়োগ নিরাপদ। তাই ব্যবসায়ী, শিল্প উদ্যোক্তা ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বাজুস সভাপতি বলেন, এবার দ্বিতীয়বারের মতো হচ্ছে বাজুস ফেয়ার। এখানে ঘুরে ফিরে একটি বিষয়ই আসছে। সেটি হলো, কিনতে গেলে স্বর্ণের দাম বেশি, বিক্রি করলে কম।
এ ক্ষেত্রে খাঁটি স্বর্ণ কেনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তাহলে বিক্রির সময় দামে ব্যবধান হবে না। জুয়েলারি কেনার সময় দেখতে হবে কাচের টুকরো বা হীরা বা মিনা করা আছে কিনা। এভাবে মূল্যায়ন হয়। সম্পদ হিসেবে খাঁটি স্বর্ণ কিনতে হবে। কাচের টুকরো সঙ্গে নেবেন না। তাহলেই বিক্রির সময় ভালো দাম পাওয়া যাবে।
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নিয়েও কথা বলেন তিনি। বাজুস সভাপতি বলেন, স্বর্ণের দাম আমরা নির্ধারণ করি না। আন্তর্জাতিক বাজার দরের ভিত্তিতে দেশে দাম নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশে ২০ বছর আগে স্বর্ণের দাম প্রতি ভরি ছিল ৬ হাজার টাকা। বর্তমানে ৯০ থেকে ৯২ হাজার টাকা। অর্থাৎ দাম বেড়েছে ১৫ গুণ। সবাই স্বর্ণকে সম্পদ হিসেবে ভাবলে আগামী ২০ বছরে দাম অনেক বাড়তে পারে। এখন ৯০ হাজার হলে ২০ বছরে দাম ৯ লাখও হতে পারে। এভাবে ভাবতে হবে।
মূল বক্তব্যে শাহনাজ মুন্নী বলেন, বাংলাদেশে সব সময় স্বর্ণালংকারের চাহিদা ছিল। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে স্বর্ণের ভরি ছিল ৫০০-৬০০ টাকা। কালের বিবর্তনে স্বর্ণের দাম বেড়েছে বহুগুণ। সেসঙ্গে পরিবর্তন এসেছে স্বর্ণালংকার ডিজাইনে। বাজুস ফেয়ারে নানা ধরনের গহনা এসেছে। বাজুস ফেয়ার সফল হবে বলে আশা করছি।
বাজুস আয়োজিত বাজুস ফেয়ার ২০২৩ চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা। বাজুস ফেয়ারে প্রবেশের টিকিটমূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। তবে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টিকিট লাগবে না। এ ছাড়া বাজুস ফেয়ারে ক্রেতাদের জন্য র্যাফেল ড্রর ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতা আকর্ষণে বিশেষ অফার দিচ্ছে। এবার বাজুস ফেয়ারে ৮ প্যাভিলিয়ন, ১২ মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৩০ স্টলে দেশের ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক সাবরিনা সোবহান, বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়াল, বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, বাজুস প্যানেল ল ইয়ার ব্যরিস্টার সুমাইয়া আজিজ, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন উইমেন অ্যাফেয়ার্স ভাইস-চেয়ারম্যান সোহানা রউফ চৌধুরী প্রমুখ।
SOURCE : দৈনিক কাল বেলাকসবায় বসুন্ধরার সহায়তায় চক্ষু চিকিৎসা পেল ৫০০ রোগী
500 Patients Receive Eye Treatment in Kasba with Bashundhara Group’s Support
৬০ জন দরিদ্র মহিলাকে সেলাই মেশিন দান করলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Donates Sewing Machines to 60 Poor Women in Bancharampur
বসুন্ধরা গ্রুপ বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখছে
Bashundhara Group Keeps Underprivileged Students' Dreams Alive
শায়েস্তাগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributed Food Items Among Underprivileged People in Shayestaganj
আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর- পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ আসরের সমাপনী
"Qur'an-er Noor - Powered by Bashundhara" Int'l Hifzul Qur'an Competition Closing Ceremony is Held