জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধটা দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে। টাকার অঙ্কে মাপা হয় না এই যুদ্ধের মাপকাঠি, বরং এর পরিমাপ হয় স্বপ্নভঙ্গের বেদনায়, হতাশার গভীরতায়। কিন্তু সেই যুদ্ধে যখন কেউ পাশে দাঁড়ায়, তখন হার না মানার সাহস জন্মায়। বাংলাদেশের প্রান্তিক পরিবারের হাজারো শিক্ষার্থীর জীবনে সেই সাহস জুগিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
তাদের গল্পগুলো শুধু সংগ্রামের নয়, একই সঙ্গে মানবিকতার জয়গাথা।
ছামিয়া আক্তারের মায়ের স্বপ্ন ছিল মেয়ে যেন নার্স হয়। কিন্তু লিভার ক্যান্সারে মায়ের মৃত্যুর পর সংসার ভেঙে পড়ে। পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার মুখে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃত্তি তাকে আবার স্বপ্ন দেখায়।
মারিয়া আক্তারের বাবা নেই, মা সেলাইয়ের কাজ করে সংসার চালান। নার্সিং পড়ার স্বপ্নটা ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ স্যার আর বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় সত্যি হয়। উহ্লাচিং মারমা নৈশপ্রহরীর কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি জোগাড় করতেন। আজ তিনি বসুন্ধরার সহায়তায় ফিন্যান্স বিভাগের মেধাবী ছাত্র।
চাইওয়াপ্রু মারমার মতো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপের বৃত্তির কল্যাণে। জান্নাতুল ফেরদৌসীর বাবা করোনায় চাকরি হারালে তার নার্সিং পড়া অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। আজ সে বসুন্ধরার সহায়তায় ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। রাইফানা নিশাতের বাবা মারা যাওয়ার পর সংসার চালানো দুষ্কর হয়েছিল। বসুন্ধরার মাসিক বৃত্তি তাকে এবং তার ছোট ভাইকে পড়ার সুযোগ দিয়েছে।
ফাতেমা জান্নাতের মা-বাবার বিচ্ছেদের পর নানার বাড়িতে বড় হওয়া। নার্সিং পড়ার স্বপ্ন ডা. আবদুল্লাহ স্যার আর বসুন্ধরা শুভসংঘ পূরণ করেছে। সত্য কুমার তঞ্চঙ্গ্যা রাঙামাটি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও আর্থিক সংকটে হিমশিম খাচ্ছিলেন। বসুন্ধরার বৃত্তি তাকে চিন্তামুক্ত করেছে। তাপসী রানি রায়ের দিনমজুর বাবা মেয়েকে নার্স বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। আজ সে বসুন্ধরার সহায়তায় মাগুরা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।
কেন্টন চাকমা খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্যকলা বিভাগে পড়ার সুযোগ পেয়েও দারিদ্র্য তাকে পিছু ছাড়েনি। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা তাকে স্বপ্নের পথে এগিয়ে নিয়েছে। ফারজানা আক্তারের বাবা দিনমজুর, মায়ের অসুস্থতা সংসারকে দিশাহারা করেছিল। আজ বসুন্ধরার বৃত্তি তাকে জয়পুরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটে পড়ার সুযোগ দিয়েছে। সচিব কান্তি চাকমা মাকে হারিয়ে দাদু-দাদির কাছে বড় হয়েছেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ জোগাড় করতে না পেরে হতাশ ছিলেন। বসুন্ধরা শুভসংঘ তার জীবনে আশার আলো জ্বেলেছে।
এই গল্পগুলো শুধু ১২ জনের নয়। বসুন্ধরা গ্রুপ সারা দেশে দুই হাজারেরও বেশি মেধাবী শিক্ষার্থীর স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা নার্সিং ইনস্টিটিউট—প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে বসুন্ধরার সহায়তা পৌঁছে গেছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি প্রান্তিক গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা এই সহায়তা পেয়েছে।
স্বপ্ন দেখার অধিকার সবার। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের পথে দারিদ্র্য যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেটি নিশ্চিত করাই বসুন্ধরা গ্রুপের লক্ষ্য। তাদের এই উদ্যোগ শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, এটি একটি জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কারণ, একজন শিক্ষিত মানুষই পারে পরিবার, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে। বসুন্ধরা গ্রুপের এই মানবিক উদ্যোগ শুধু আজকের শিক্ষার্থীদেরই সাহায্য করছে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
স্বপ্ন যখন বাঁচে, তখন বাঁচে একটি দেশ। বসুন্ধরা গ্রুপ সেই স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছে—একটু একটু করে, দিনের পর দিন।
SOURCE : কালের কণ্ঠবাঞ্ছারামপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ৬০ নারীকে সেলাই মেশিন বিতরণ
60 Underprivileged Women Receive Sewing Machines in Bancharampur through Bashundhara Shuvosangho
নারায়ণগঞ্জে অসহায় বিধবা রামরতি রবিদাসের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Supports Struggling Widow Ramrati Rabidas in Narayanganj
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে পাবনায় ১০০ নারী পেলেন সেলাই মেশিন
বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদমুক্ত ঋণে স্বাবলম্বী হাজারো পরিবার
Thousands of Families Self-Reliant with Bashundhara Foundation's Interest-Free Loans
ভোলা নৈশ ও দিবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributes Educational Materials at Bhola Night and Day school
দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভরসার নাম বসুন্ধরা গ্রুপ