১৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে আজীবন সম্মাননা জানাল দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউস প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের বীর সন্তানদের এই সম্মাননা জানানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পথচলা। আর বাংলাদেশ সৃষ্টিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবদান তা মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ প্রতিদিনের এই প্রয়াস।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বসুন্ধরা গ্রুপ ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও নিউজ২৪-এর সিইও নঈম নিজাম।
সম্মাননাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন—এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীর-উত্তম, মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ বীর-উত্তম, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর-উত্তম, লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী বীর-উত্তম, কমডোর (অব.) এ ডাব্লিউ চৌধুরী বীরবিক্রম, কর্নেল (অব.) এ এইচ এম গাফফার, বীর-উত্তম, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর-উত্তম, গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীর-উত্তম, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) লিয়াকত আলী খান বীর-উত্তম, মেজর (অব.) কামরুল হাসান ভূঁইয়া, মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান, কমান্ডার (অব.) খলিলুর রহমান, ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, কামাল লোহানী, স্থপতি মোবাশ্বির হোসেন ও মামুনুর রশীদ।
এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষতা করে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) এবং মিডিয়া পার্টনার নিউজ২৪। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নিউজ২৪-এর হেড অব কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সামিয়া রহমান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন এবং এসআইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী ওসমান আলী।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানোর এই সুন্দর আয়োজনটি করার জন্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এর আগে কোনো মিডিয়া একসঙ্গে এতজন গুণী ও শ্রদ্ধেয় মানুষকে একত্র করেনি। বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা এক ও একক অর্থে ব্যবহার করা যায়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সত্যিকার অর্থেই একটি জনযুদ্ধ। সে সময় কিছু দেশদ্রোহী ছাড়া দেশের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষেরই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউসের যখন যাত্রা শুরু হয় তখন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। আহমেদ আকবর সোবহান প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে মানুষের পক্ষে কাজ করব।
আজ তাঁর সেই কথারই প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। দেখে ভালো লাগছে এই মিডিয়া সত্যিই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে চলছে।’
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা এমন কিছু লোককে সম্মাননা দিতে যাচ্ছি যাদের কৃতীত্বের কথা জানিয়ে শেষ করা যাবে না। পৃথিবীর বুকে যত দিন বাংলাদেশের নাম থাকবে তত দিন
মুক্তিযোদ্ধাদের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমরা এখন সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।’
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘একসময় বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে বলত তলাবিহীন ঝুড়ি, আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতি সারা দুনিয়ার কাছে ঈর্ষণীয়। আমরা গর্বিত যে আজকে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বসবাস করি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। একই সঙ্গে এই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্ম না হলেও বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। আমরা তাদের সম্মান জানিয়ে নিজেরাই গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই আমাদের ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া পথ চলছে। এই মুক্তিযোদ্ধারা একেকজন একেকটি ইতিহাস। তাঁরা দেশের জন্য যা করেছেন তা মহাগ্রন্থ হিসেবে থাকবে। আমরা আশা করি, আপনারা দেশের জন্য আরো অবদান রাখবেন।’
বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবদান তা মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য আমাদের এই প্রয়াস। বাংলাদেশ প্রতিদিন এখন দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক। আমাদের এই দৈনিকটি প্রতিদিন সাড়ে পাঁচ লাখ কপি ছাপা হয়। হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে আমরা এই কাগজটি প্রকাশ করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালের আদর্শকে ধারণ করেই ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিন যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছতে পারে সে প্রয়াস আমাদের। এই মিডিয়ার প্রতিটি কাগজই যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হয় সে ব্যাপারে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানও আমাদের বলেন। ব্যক্তিগতভাবে আমিও মুক্তিযুদ্ধ পরিবারেরই সন্তান।’
কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘১৯৭১ সালের মতো সুসময় আর দুঃসময় কখনো আমাদের আসেনি। সুসময় এ জন্য যে কিছু রাজাকার ছাড়া প্রতিটি মানুষ সে সময় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। আর দুঃসময় এ জন্য যে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ৩০ লাখ লোককে প্রাণ দিতে হয়েছে। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার প্রতিটি কাগজ, টেলিভিশন, রেডিও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই এগিয়ে চলছে। আমাদের মাথার ওপর যিনি আছেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তিনিও সে কথাটিই আমাদের বলেন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিতে পেরে আমরা নিজেরাই সম্মানিত হয়েছি।’
এসআইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী ওসমান আলী বলেন, ‘এসআইবিএল দেশের অন্যতম বৃহৎ শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক। আমরা চেষ্টা করি মানুষকে সেবা দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিতে। মুক্তিযুদ্ধের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আমরা নিজেরাই গর্ববোধ করছি। আমাগীতেও এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
SOURCE : কালের কণ্ঠকসবায় বসুন্ধরার সহায়তায় চক্ষু চিকিৎসা পেল ৫০০ রোগী
500 Patients Receive Eye Treatment in Kasba with Bashundhara Group’s Support
৬০ জন দরিদ্র মহিলাকে সেলাই মেশিন দান করলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Donates Sewing Machines to 60 Poor Women in Bancharampur
বসুন্ধরা গ্রুপ বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখছে
Bashundhara Group Keeps Underprivileged Students' Dreams Alive
শায়েস্তাগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributed Food Items Among Underprivileged People in Shayestaganj
আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর- পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ আসরের সমাপনী
"Qur'an-er Noor - Powered by Bashundhara" Int'l Hifzul Qur'an Competition Closing Ceremony is Held