করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দেশের সবচেয়ে বড় অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী ২৭-২৮ এপ্রিলের মধ্যে চিকিৎসাসেবার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে এটি। এরই মধ্যে দুই নম্বর হলজুড়ে বেড সেট করা হয়ে গেছে। এক্সপো জোনেও একই কাজ চলছে।
এ ছাড়া বেডের পাশে ফার্নিচার বসানোর কাজও হচ্ছে। তৈরি করে রাখা রয়েছে ডাক্তার, নার্স ও সাপোর্টিং স্টাফদের কক্ষগুলো। এক্সপো জোন ও তিনটি হলরুমে দুই হাজার ১৩ বেডের আইসোলেশন সেন্টারের পাশাপাশি ৭১ বেডের আইসিইউ ইউনিট থাকবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার নির্মাণাধীন হাসপাতালের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে আইসিসিবির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুটি ব্লকে ৫০০টি বেড বসানো হয়ে গেছে।
আগামীকালের ভেতর আরো ৫০০টি বেড বসানো হবে। গত ১২ এপ্রিল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঘোষণা দিয়ে বলেছিল যে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যেই হাসপাতালের কার্যক্রমে যেতে চায় তারা। সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, সরকার ও বসুন্ধরা গ্রুপ পরস্পর সমন্বয় করে কাজগুলো করে যাচ্ছে। আমরা সন্তুষ্ট যে এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি।
সব রকমের সুবিধাসহ দেড় শ পাকা টয়লেট তৈরি করা—এটা কিন্তু অনেক কঠিন কাজ, আমাদের এই ট্রেন্ডটা ছিল বলেই বসুন্ধরা গ্রুপ এটা দিতে পারছে। আগামী ২৭-২৮ তারিখের মধ্যে রোগী সেবার জন্য হাসপাতাল প্রস্তুত থাকবে বলে আশা করি। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে যেটা জেনেছি, তাদের সিদ্ধান্ত হলো—হাসপাতালের শতভাগ কাজ সম্পূর্ণ হলে সেবার জন্য খোলা যাবে। এখানে যেহেতু ভাইরাসের ট্রিটমেন্ট হবে তাই চিকিৎসা চলাকালীন কোনো নির্মাণকাজ করা যাবে না। সেই সূত্র ধরে আমরা বলতে পারি আমাদের যে প্রস্তুতি এটা একেবারে দ্বারপ্রান্তে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ইনফ্রাস্ট্রাকচার না থাকলে হয়তো বা সরকার এ সিদ্ধান্তটা জরুরিভাবে নিত না। এ জন্য আমাদের বসুন্ধরার চেয়ারম্যান সাহেবকে আবারও ধন্যবাদ জানাই যে তিনি দ্রুত বুঝিয়ে দিতে পেরেছেন।’
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এরই মধ্যে দুই নম্বর হল এবং এক্সপো জোনজুড়ে বিছানা (বেড) স্থাপন করা হয়ে গেছে। পাশাপাশি ফার্নিচার বসানোর কাজও হচ্ছে। এক্সপো জোনের পুরোটাজুড়ে এয়ারকন্ডিশন লাগানোর কাজ এবং ২৫০০ কিলোওয়াটের সাবস্টেশন ও জেনারেটর বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত সিসি ক্যামেরাও স্থাপন করা হবে যার মাধ্যমে ডাক্তার-নার্সরা রোগীদের সার্বক্ষণিক মনিটর করতে পারবেন। আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করে করোনা চিকিৎসার এই অস্থায়ী হাসপাতাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করার কথা। সে লক্ষ্যে রাত-দিন বিরামহীন কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে দেশের এই ক্রান্তিকালে এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দশ কোটি টাকা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারকে আইসিসিবিতে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেয় দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল আইসিসিবি পরিদর্শন করে। পরে এটাকে অস্থায়ী হাসপাতাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আইসিসিবির সুবিশাল চারটি কনভেনশন হল ও একটি এক্সপো জোনে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। যত দিন এ মহামারি থাকবে এবং সরকারের যত দিন ব্যবহারের প্রয়োজন শেষ না হবে তত দিন আইসিসিবি ব্যবহার করতে পারবে।
SOURCE : কালের কণ্ঠকসবায় বসুন্ধরার সহায়তায় চক্ষু চিকিৎসা পেল ৫০০ রোগী
500 Patients Receive Eye Treatment in Kasba with Bashundhara Group’s Support
৬০ জন দরিদ্র মহিলাকে সেলাই মেশিন দান করলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
Bashundhara Shuvosangho Donates Sewing Machines to 60 Poor Women in Bancharampur
বসুন্ধরা গ্রুপ বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখছে
Bashundhara Group Keeps Underprivileged Students' Dreams Alive
শায়েস্তাগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বসুন্ধরা শুভসংঘের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
Bashundhara Shuvosangho Distributed Food Items Among Underprivileged People in Shayestaganj
আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর- পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ আসরের সমাপনী
"Qur'an-er Noor - Powered by Bashundhara" Int'l Hifzul Qur'an Competition Closing Ceremony is Held